ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামে বাড়ছে ‘পিগ বুচারিং’ প্রতারণা, নিরাপদ থাকবেন যেভাবে

ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে ‘পিগ বুচারিং’ প্রতারণা করছে একদল সাইবার অপরাধী। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এ ধরনের প্রতারণার শিকার হয়ে তাঁদের কষ্টার্জিত অর্থ হারাচ্ছেন। বেকার যুবক-যুবতী, গৃহিণী, শিক্ষার্থী ও আর্থিক সংকটে থাকা মানুষদের লক্ষ্য করে এ ধরনের প্রতারণা বেশি হচ্ছে।

পিগ বুচারিং প্রতারণা কী

পিগ বুচারিং প্রতারণায় মূলত নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার বিভিন্ন প্রলোভন দেখানো হয়। এ জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের বিশ্বাস অর্জন করতে তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘদিন বার্তা আদান–প্রদান করে থাকে প্রতারকেরা। এরপর লাভজনক বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে উৎসাহ দিয়ে বার্তা পাঠায় তারা। বিনিয়োগ করার পর শুরুতে প্রতারকেরা মুনাফার কিছু অংশ উত্তোলনের সুযোগ দিয়ে আস্থা তৈরি করে। এরপর বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করলে পুরো অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়।

যেভাবে প্রতারণা করা হয়

প্রথম ধাপে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের টার্গেট করে বন্ধু হওয়ায় আমন্ত্রণ জানায় প্রতারকেরা। এরপর প্রেমের অভিনয় বা বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়মিত কথোপকথনের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর আস্থা অর্জন করে তারা। আস্থা অর্জনের পর প্রতারকেরা সাধারণত ক্রিপ্টোকারেন্সি বা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে দ্রুত ধনী হওয়ার প্রলোভন দেখায়। তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে বিনিয়োগ করলে প্রাথমিক পর্যায়ে মুনাফার আংশিক অর্থ ফেরত দিয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানো হয়। এতে ভুক্তভোগীরা আরও বড় অঙ্কের বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তবে ভুক্তভোগীরা তাঁদের আয়ের অর্থ বা বিনিয়োগ পুরোপুরি ফেরত চাইলেই তাঁদের ব্লক করে পুরো অর্থ নিয়ে উধাও হয়ে যায় প্রতারকেরা।

নিরাপদ থাকতে যা করতে হবে

এ ধরনের প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে অনলাইনে সচেতনতা বাড়ানো সবচেয়ে জরুরি। এ জন্য অনলাইনে অপরিচিত কোনো ব্যক্তির পাঠানো বার্তা বা প্রস্তাব সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। বিশেষ করে অপরিচিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে খুবই লাভজনক কোনো বিনিয়োগ প্রস্তাব পেলে সতর্ক থাকতে হবে। নতুন পরিচিত কোনো ব্যক্তি অনলাইনে বিনিয়োগের কথা বললেও সতর্ক থাকতে হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *